Loading…
0 0 Reviews
Views: 62

আল মিশকাত ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা

ভর্তি শুরু হয়েছে।

Admission

  • হল রোড় বসুরহাট, Basurhat...See map
  • Posted 3 days ago

ID: 3171

Dealer owner-img

PreoZone

Member Since November 29, 2025

View All Ads
Click To Show 019264xxxxx
Click To Show 019264xxxxx
image

Description:

আল মিশকাত ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা, শারীরিক শাসন মুক্ত এবং মানসিক ভয় মুক্ত, কোরআনিক শিক্ষা মিশন। 


মাদ্রাসার উস্তাদ ও ছাত্রের সম্পর্ক কেবল একজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি একটি রূহানি বা আত্মিক বন্ধন। এই সম্পর্কটি দ্বীনি ইলম (জ্ঞান) এবং আমলের (আচরণ) মেলবন্ধনে তৈরি হয়।

১. রূহানি পিতা ও আদর্শ সন্তানের সম্পর্ক

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে উস্তাদ হলেন ছাত্রের রূহানি পিতা। জন্মদাতা পিতা সন্তানকে দুনিয়ায় আসার পথ দেখান, আর উস্তাদ তাকে জান্নাতের পথ দেখান।

* উস্তাদের ভূমিকা: একজন পিতা যেমন তার সন্তানের অকল্যাণ সইতে পারেন না, উস্তাদও তেমনি ছাত্রের ইহকাল ও পরকালের মঙ্গলের জন্য সর্বদা চিন্তিত থাকবেন।

* ছাত্রের ভূমিকা: একজন অনুগত সন্তানের মতো উস্তাদকে মান্য করা এবং তাঁর সম্মান রক্ষা করা ছাত্রের প্রধান কাজ।

২. আদব ও ইহতিরাম (শিষ্টাচার ও শ্রদ্ধা)

ইলম বা জ্ঞান অর্জনের প্রধান শর্ত হলো 'আদব'। বলা হয়, "আদব ইলমের চেয়েও মূল্যবান।"

* উস্তাদের সামনে কথা বলা, বসা এবং হাঁটাচলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিনয়ী হওয়া।

* উস্তাদ কোনো বিষয়ে ভুল করলেও বা কঠোরতা করলেও তাঁর সামনে তর্কে লিপ্ত না হওয়া।

* উস্তাদের ইশারা বা ইঙ্গিত বুঝে তাঁর প্রয়োজন পূরণ করার চেষ্টা করা।

৩. স্নেহ ও দয়ার বহিঃপ্রকাশ

উস্তাদ ছাত্রের ওপর অহেতুক কঠোরতা করবেন না। রাসূল (সা.) ছিলেন চরম ধৈর্যশীল শিক্ষক।

* ছাত্র পড়া না বুঝলে উস্তাদ বিরক্ত না হয়ে দয়ার সাথে বারবার বুঝিয়ে দেবেন।

* ছাত্রের ব্যক্তিগত সমস্যা বা মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন।

* শাসন করার প্রয়োজন হলে তা যেন হয় সংশোধনের উদ্দেশ্যে, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নয়।

৪. নিঃস্বার্থ কল্যাণকামিতা (নাসিহাত)

উস্তাদ ও ছাত্রের সম্পর্ক হবে সম্পূর্ণ ইখলাস বা নিষ্ঠার ওপর ভিত্তি করে।

* উস্তাদের পক্ষ থেকে: ছাত্রকে কেবল কিতাব পড়ানোই নয়, বরং তাকে একজন মুত্তাকী (আল্লাহভীরু) মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার নিরন্তর চেষ্টা করা।

* ছাত্রের পক্ষ থেকে: উস্তাদের উপদেশগুলোকে নিজের জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করা।

৫. উস্তাদের খেদমত ও দুআ

মাদ্রাসার পরিবেশে উস্তাদের খেদমত করাকে বরকতের কারণ মনে করা হয়।

* উস্তাদের জুতো সোজা করে দেওয়া, তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিস এগিয়ে দেওয়া বা তাঁর ছোটখাটো কাজে সাহায্য করা ছাত্রের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

* উস্তাদের মন থেকে আসা 'দুআ' একজন ছাত্রের জীবন বদলে দিতে পারে। তাই সর্বদা উস্তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা।

৬. ইলমের আমানত রক্ষা

উস্তাদ যে ইলম ছাত্রের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তা একটি বিশাল আমানত।

* ছাত্রের দায়িত্ব হলো উস্তাদের শেখানো পথ অনুযায়ী আমল করা এবং সেই জ্ঞান অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

* উস্তাদের ইন্তেকালের পরেও তাঁর জন্য দুআ করা এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এই সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মাদ্রাসার ছাত্র-উস্তাদ সম্পর্কটি হলো "ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক অপূর্ব সমন্বয়"। উস্তাদ যখন স্নেহের চাদর দিয়ে ছাত্রকে আগলে রাখেন এবং ছাত্র যখন শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে উস্তাদের আনুগত্য করে, তখনই সেখানে আল্লাহর রহমত নাজিল হয় এবং ইলমের প্রকৃত নূর বিচ্ছুরিত হয়।

পবিত্র কুরআন হিফজ করা একটি অত্যন্ত বরকতময় এবং সম্মানের কাজ। এটি কেবল মুখস্থ করার বিষয় নয়, বরং আল্লাহ্‌র কালামকে অন্তরে ধারণ করা। দ্রুত এবং সফলভাবে হিফজ সম্পন্ন করার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল ।

১. নিয়ত এবং আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি

সবকিছুর আগে আপনার উদ্দেশ্য বা নিয়ত পরিষ্কার হতে হবে।

* ইখলাস (একনিষ্ঠতা): শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য হিফজ শুরু করুন। লোকদেখানো বা নামের মোহে নয়।

* গুনাহ বর্জন: ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেছিলেন, ইলম হলো আলো, আর গুনাহ এই আলোকে নিভিয়ে দেয়। তাই হিফজ চলাকালীন চোখের এবং কানের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।

* দুয়া: প্রতিদিন আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চান যেন তিনি আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কাজটি সহজ করে দেন।

২. রুটিন ও সময়ের ব্যবস্থাপনা

দ্রুত হিফজের জন্য সময়ের সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য।

* ধারাবাহিকতা: একদিনে ১০ পৃষ্ঠা পড়ে পরের তিন দিন বিরতি দেওয়ার চেয়ে প্রতিদিন আধা পৃষ্ঠা পড়াও উত্তম। কোনোভাবেই রুটিন মিস করা যাবে না।

৩. হিফজ করার আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি

পড়াশোনা করার সময় নিচের এই ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

* আয়াতটি শোনা: নতুন কোনো অংশ মুখস্থ করার আগে দক্ষ কোনো ক্বারীর তিলাওয়াত ৪-৫ বার শুনুন। এতে আপনার উচ্চারণ ও তাজবিদ সঠিক হবে।

* লিংকিং মেথড: একটি আয়াত মুখস্থ হলে দ্বিতীয় আয়াতটি পড়ুন। এরপর ১ ও ২ নম্বর আয়াত মিলিয়ে পড়ুন। এরপর ৩ নম্বর আয়াত পড়ুন এবং ১, ২ ও ৩ মিলিয়ে পড়ুন। এভাবে চেইনের মতো আগাতে হবে।

* মুসহাফ বা নির্দিষ্ট কুরআন শরীফ: হিফজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই ছাপা বা একই ফন্টের কুরআন ব্যবহার করুন। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক পৃষ্ঠার গঠন এবং আয়াতের বিন্যাস ছবির মতো (Visual Memory) সেভ করে রাখে।

৪. রিভিশন বা 'মরাজা' (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)

নতুন পড়ার চেয়ে পুরোনো পড়া মনে রাখা বেশি কঠিন। রিভিশনের জন্য এই কৌশলগুলো মানতে পারেন:

* সালাতে তিলাওয়াত: দিনের মুখস্থ করা অংশগুলো সুন্নাত, নফল বা তাহাজ্জুদ নামাজে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি মুখস্থ পড়াকে পাথরের মতো মজবুত করে দেয়।

* পারস্পরিক তিলাওয়াত: আপনার কোনো বন্ধু বা সাথীর কাছে পড়া শোনান। ভুলগুলো অন্যের কানে দ্রুত ধরা পড়ে।

* বিশ্রামের সময় শোনা: যাতায়াত বা বিশ্রামের সময় নিজের মুখস্থ অংশগুলো হেডফোনে শুনুন।

৫. শারীরিক ও মানসিক যত্ন

* পুষ্টিকর খাবার: মধু, কালোজিরা, বাদাম এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।

* পর্যাপ্ত ঘুম: রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম কম হলে পড়া দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

* সবরের (ধৈর্য) পরিচয় দেওয়া: মাঝেমধ্যে মনে হতে পারে পড়া হচ্ছে না বা ভুলে যাচ্ছেন। এমন সময় ধৈর্য হারাবেন না। মনে রাখবেন, প্রতিটি হরফ পড়ার জন্য আপনি সওয়াব পাচ্ছেন।

> মনে রাখবেন: কুরআন হিফজ করা কোনো বিরত নয়, এটি আল্লাহ্‌র সাথে একটি পবিত্র সম্পর্ক। আপনার গতি যাই হোক না কেন, প্রতিদিন লেগে থাকাই হলো আসল সফলতা।

Mention when calling seller to get a good deals

 

image

Location:

হল রোড় বসুরহাট, Basurhat, Bangladesh

Write a Review

Top